Saturday 22 December 2012

অদিতি কোনও কবিতা


অদিতি যদি কোনও কবিতা হত' ৷৷

এভাবেও কি জন্ম দেওয়া যায় ?
            আচ্ছন্ন অনির্বাণ আর....
জীবনের ফেলে আসা রূপকথার ফুলশয্যা
এভাবেও কি জন্ম দেওয়া যায় ?

যদি অদিতি কোনও কবিতা হত' !

আমার রক্ত দিয়ে রাঙানো আধুলি
বিক্রি করে দিত হাজার ডলার ৷

যদি অদিতি কোনও কবিতা হত'........

রুদ্ধশ্বাস  রুদ্ধ কণ্ঠ -
আঢ়ষ্ঠ জিহ্বা - উদ্গত প্রাণ -
সময় শুধু অঙ্কের হিসাব ৷৷
                   
                                    অদিতি -
অদিতি যদি ......................৷৷

               ঘুমাও ..
ঘুমাও অদিতি ঘুমাও ৷
শিশিরের হাত ধরে - পাতাঝরা গান
- আর ঘুম পাড়ানি বিকেল -
তবু তো আমার মতো রক্তাক্ত নও তুমি -
ঘুমাও.... অদিতি ঘুমাও
তুমি তো কোনও কবিতা নও ৷৷


or

Saturday 24 November 2012

আগুন চাই



অনেক হতাশার ভিড়ে এক আত্মীয়ের মুখের মত
জীবনের অনেক সময় ভিড় করে থাকে
     তোমার সহজ হাতছানিও তখন কঠিন করে ফেলি
অনেক অনেক হতাশার ভিড়ে
সেই আত্মীয় খুঁজে ফিরি ।।

তারা আসবে বলে আবিরে সোহাগে মাখামাখি
আদুরে আসনে বরন সাজাই ।।
প্রদীপ জাগ-হাড়ি পুরোহিত প্রসাদ
আমার অস্থিসজ্জায় হোম
কিন্তু
আগুন ?
     একটু আগুন পাই কোথায় ?

আগুন জ্বালাতে জ্বালাতে প্রস্তরযুগও পেরিয়ে এসেছি আমি
একটু আগুন যদি জ্বালিয়ে দাও
     আমি হোম হতে পারি
     ধুপ হতে পারি
আমি তুবড়ির মত আনন্দ দিতে পারি
একটু আগুন
একটু আগুন যদি জ্বালিয়ে দাও ।।

                                                18/11/12 [Andul]

Sunday 11 November 2012

অনির্বাণ কোমায় আচ্ছন্ন


অনির্বাণ কোমায় আচ্ছন্ন
প্রত্যুষ আফসোস করেছিল
বলেছিল - কোনো এক অজ্ঞাত পিরামিডের কফিনে
শুধু হৃদপিণ্ডটুকু জ্যান্ত মমির মতো
........................ আজও বেঁচে আছে ।
আমি সোল্লাসে চিৎকার করে বলেছিলাম
শাবাশ - …. অনির্বাণ শাবাশ |

অনির্বাণ কোমায় আচ্ছন্ন –
           মৃত্যুর প্রহর গুনছে ।

কিন্তু ................
অনেক রাত্রি আত্মস্থ হতে চেয়েছিল অনির্বাণ ।
নিটোল সংজ্ঞাহীন সমাধি ।
সৃষ্টির উন্মত্ত সুখ, উষ্ণ আলিঙ্গন
আর চেয়েছিল নীল আবিরের মত সমুদ্র
মিশরের বুকে আর এক নীল কবিতা লিখবে সে ।
অনির্বাণ চেয়েছিল কিছু সবুজ আফ্রিকা থেকে কুড়িয়ে
সাহারার ধুসর খোঁপায় পরিয়ে দিতে 
........................ পারে নি ।

সময় তার কাছে কোন রাজপথ নয় ।।
সামান্য ভাঙা চোরা সঙ্কীর্ণ গলিপথ ।।
তাই সে ক্লান্ত প্রতীক্ষায় শুধু প্রহর গুনছে ।।

অনির্বাণ মৃত্যুর প্রহর গুনছে
তাই ................
এখন অন্যখাতে হিসাব মেলাতে ব্যস্ত ।
কালি ঝুলি আর পোড়া ফ্যান মাখা হাঁড়িটা –
আর শিশু হাতে তুলে আনা গুটি কয় ভাতের কণা .......
আমরা আগলে নিয়ে বসে আছি
বছর থেকে আলোকবর্ষ ধরে
........................ অনির্বাণ ফিরে আসবে ।।

আজ আমি দেখতে পাচ্ছি
সময় অনির্বাণের কপালে চুমু দিয়ে বসে আছে ......
বসে আছে আর নিষ্প্রাণ আঙুলগুলো
অন্যমনস্কভাবে গুনে যাচ্ছে –
এক দুই ........................ দশ ।
আসলে দশটা আঙুল দিয়ে অনেক সংখ্যা হয় ।

........................ শাবাশ অনির্বাণ শাবাশ ।।

In PDF View 
http://www.mediafire.com/view/?0acan4e1buaqc30

Sunday 4 November 2012

রাফ্ফ্লেসিয়া


কালের নিয়মে চলে যায় সব - ।।

চলে যায় সব পথ চলা -
চলে যায় যত পুরানো
যত চেনা ম্যাড়মেড়ে একঘেয়ে জীবন ।
এই - দিন - ক্ষণ - মান - ঢেউ - যৌবন -
তুমি- আমি - সময় ।।

চলে যায় -
কালের নিয়মে চলে যায় সব ।।

এই চলে যাওয়া সিঁদুরে মেঘ -
ওড়নার মতো
ভালোলাগা ছেড়ে গহন অরণ্য -
এই ফেলে যাওয়া -
নায়াগ্রার মতো
অবিরাম অবিরাম -
অথবা ব্যারেনের নাভীর মতো শোকার্ত ।।

তবু এক ছবি -
চলে যাওয়ার স্রোতে মাথা রেখে -
ঝিমধরা শরীরী অঘ্রান -
স্তব্ধ রাফ্ফ্লেসিয়া -
তুমি - আমি - শ্রাবণ ।।

In PDF View

Sunday 12 August 2012

ক্যামেলিয়া

শ্রাবণ - মুখ তুলে আকাশ কে বলল -
আমাদের যদি মেয়ে হয় তার নাম রাখব বৃষ্টি .....

আর যদি ছেলে হয় -
শ্রাবণ একটু ভেবে বলল .............
               .....বাদল ।।

শ্রাবণ কানে কানে আকাশকে বলল
আজ যদি মেঘ জমে, তার নাম রাখব মিতু ।।
                      .......আর যদি ঝড় ওঠে .....
....তার নাম রাখব হৃদয় ।।

সেবার শ্রাবণ যাবার আগে আকাশের বুকে
মুখ গুঁজে অনেক কেঁদেছিল ।।

যাবার আগে বলে গেল -
মেয়ে বড় হলে তাকে আর বৃষ্টি বলে ডেকো না ।।
ওকে ডেকো ক্যামেলিয়া বলে ........।।
 

For PDF View Click Me


If Bengali Comes Improper Please see the Picture Inserted Bellow


















Thursday 31 May 2012

চক্রান্ত


এই চক্রান্তে তোমায় আমি ব্যর্থ হতে দেব’ না
কত বার মরেছ' তুমি - কত দিন - কত রাত
কত নিশিথে - একলা ছাদে –
কত তারায় তারায় - অথবা ঢেউ গোনায় ।
কত বার মরেছ তুমি ??

কখনো চুপিসারে -
তোমার চোখে, ঠোঁটে, চিবুকে দেখেছি
দেখেছি হাসির মতো দুলে দুলে হেঁটে চলে গেছে
এক নেশার মতো  - পাপড়ির রং ধরা
ভোরের আলোয় নববধুর মতো পদ্মকুঁড়ির ভ্রুকুটিতে ।

জানো, প্রতি সূর্যাস্তে মৃত্যু আসত' আমার
                    জনান্তিকে -
.............এ যাবৎ শুধু রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত আমি
আর মৃত্যু আসে না  - ।
মরণ সুখের মহামরণ হয়েছে আজ ।

এই চক্রান্তে তোমায় আমি সামিল হতে দেব না ।



If Bengali Comes Improper Please see the Picture Inserted Bellow







Sunday 20 May 2012

স্ব-মৈথুন

[এই কবিতাটি লেখার আগে আমি আমার আজকের একটা অনুভূতি share করতে চাই।

আজ বিকালে প্রচন্ড কালবৈশাখী মেঘে অনেক প্রতিচ্ছবি দেখেছি । হ্যাঁ, তোমাকেও দেখেছি সেখানে। অনেক অনাবশ্যক রুপকের অন্তরালে যেমন আমি হারিয়ে যাই, তেমনি আমিও অনেক সৃষ্টির মাঝে তোমার সত্বা রেখে গেলাম আগামীর কোলে। শুধু এক তোমাকেই নয়....... অনেক আমার মাঝে। ]



খুব দুরের কোনো আমিকে নয়
খুব কাছের কোনো আমাকেই করে ভয় ।

খুব সাদামাঠা তোমাকে নয়
এক রুপসী  -  তোমাকেই করে ভয় ।

কালবোশেখীর প্রচন্ড হাওয়া
মেঘ বাদলের মেদুর মৈথুনে
                   তোমায় .......
আমি বৃষ্টি বলেই ডাকব ।।
    সেই সদ্যোজাত বৃষ্টি জন্মায় ।।

এক আমাকে নয় -
মাঝে মাঝে তোমাকেও করে ভয় ।

এক বাদলের নয়
মাত্র এক শ্রাবনের নয়
এক প্লেটনিক প্রেমের সমুদ্র -

সেই বৃষ্টিরা সব জন্মায় -
শুধু এক তোমাতে নয় ।।




MediaFireLink


For PDF View

Sunday 1 April 2012

আর কখনো ডাকব না

                   ভাবি ......
তোমায় আর আঁকব' না
বর্ণে ছন্দে এভাবে আর ডাকব না
        ভাবব না আর ......
তোমায় আমি ভাবব না ।।
নিশিথ শেষে পরীর মতো
জানি কখনো আসবে না
         দিলাম ছুটি
তোমায় আমি
ডাকব না ......
আর কখনো ডাকব না ।।

কখনো যদি দু চোখ জুড়ে
ভিজিয়ে পাতা এমনি করে
আমার মতো তুমিও কাঁদো ।।
নাই বা দিলে আমায় তুমি
সেই দু ফোঁটা  অশ্রু বিন্দু,
জানব তুমি আমারি ছিলে
সেই স্মৃতিরই নরম কোলে
ঘুমাও সোনা - আর কেঁদো না ||

আমি ওগো ফিরব না ......
আর কখনো ফিরব না ।।

Wednesday 22 February 2012

হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা

আজও ...............
    সেই কয়েক সহস্র যুগের বিবর্ণ পথ'ছবি
আবালবৃদ্ধবনিতার ভিড়ে
এলোমেলো তুলির টানে
    নিষ্ঠুর চাহিদার মতো নির্মম মায়াবী ৷৷

অনেক যুগের পরে আজ ভোর জেগেছে অনেক পরে
কুয়াশায় ভেসে আসা স্বপ্নের ঘোরে
তবু তো ভোর জেগেছে অনেক পরে  !!

মেঠোপথে কত এলোমেলো ঢেউ টানা
কত এলোমেলো গন্তব্য
ঝড়ো হাওয়ায়
    সহস্রগুন বাঁধনের নিষ্ঠুর বন্ধন
তবু হারিয়ে যাওয়ার অজস্র ঠিকানা ৷৷

              এই শেষ চলা -
কখনও আর ফিরব না ৷
তবু দুহাতে দুমুঠো ফুল ছাড়ায়ে দিলাম ৷
    যদি .....
অসতর্ক মুহুর্তে কোনো
চেয়ে দেখো .....
          আমার
হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা ৷৷

For PDF View


Sunday 5 February 2012

যে নক্ষত্রও সব


আমার সব দুঃখ, সব স্বপ্ন মুক্ত হয় না কেন ?
আমার সব স্মৃতি সব বেদনা ঝিনুক হয় না কেন ?
আমার সব চেতনা, সব তিতিক্ষা সাগর হয় না কেন -

সব প্রেম সব মাধুরী আকাশ হয় না কেন....
আমার সব ব্যর্থতা সব হতাশা মেঘ হয় না কেন ??
            সব অনুরাগ সব আকাঙ্খা বাতাস হয় না কেন

আমার সমস্ত আকাশ জুড়ে যে ছোট্ট তারা
আর জোনাকির রঙ ধরা নক্ষত্রও সব
ভোরের আবির হয় না কেন ?
                        কখনও বা ভোরের জোয়ার
ভাসিয়ে নিয়ে যায় নি কেন - সে পদ্ম কুঁড়ির
                                    নরম লজ্জা ....           
আমার ভোরের পাখিরা সব
ঘর ভাঙা ঝড় থেমে গেলে লাল শিউলি .....
                        অথবা বকুল গন্ধ চুরি করে না কেন ?

যতই সমস্ত আকাশ জুড়ে
মেঘ বলাকার ছবি আঁকি না কেন
তবু আমার সব আঁচড় ঘিরে
            কবিতা হয় না কেন ??

For PDF View

তার চেয়ে বরং ................

তার চেয়ে বরং কোনো কবিতা শোন -
                সারাদিন পাড় ভাঙ্গা,
তুরতুরি নদীটির ফেনিল জিহ্বার মতো
           এক ঝাঁক বলাকার -
        নিরিবিলি আনাগোনা ৷৷

অথবা মিশরীয় সভ্যতায়
    মৃত শবরীর ন্যায় -
নিরন্তর ভয় ধরা মমির স্তুপের মতো,
        এক ঝাঁক কাব্যিক হৃদয় ৷৷

তার চেয়ে বরং একটু ঘুরে আসি,
নিল ডানার পরীর দেশে -
    লাল পিয়ালী সবুজ হাসি  ৷৷

তার চেয়ে বরং অনেক দিনের আলিস্যি ভেজা -
    একরাশ হাই তুলি  ৷৷

ধৃষ্টতার হাতুড়ি

এক ছটাক মদ নিয়ে
            মাতলামির অন্ত নেই আমার.....
ভাবি কয়েক হাজার বছর ধরে
একতাল কাদা, বার্নিশ
হাতে মুখে ঠোঁটে ঘষে
             অবশেষে পাথুরে প্রতিমা ,
                    .....    এটাই সত্যি ৷

নায়েগ্রার মুখের মতো ধোঁয়াশা,
হিমালয়ের বুকের মতো - বিচূর্ণ
অথবা ব্যারেনের অগ্নিগর্ভ
             হৃদয় থেকে তুলে আনা
একতাল উত্তপ্ত লাভা ৷
আমি নাভিতে যোনিতে চুমু দিয়ে দেখি
                  রাত শেষ হয়ে গেছে -
ভোরের ঝিমুনিটুকু বাকি ৷

সকালে চোখ ঘষে বুঝি
নিজের সত্তা নিয়েই
ধৃষ্টতার অন্ত নেই আমার ৷